পানির প্রতিটি অণু একটি অক্সিজেন ও দুইটি হাইড্রোজেন দ্বারা গঠিত। সহজভাবে বলা যায় পানির মধ্যকার অক্সিজেন কাজ করে নেগেটিভ আর হাইড্রোজেন কাজ করে পজেটিভ শক্তি হিসেবে। পানির এই অণুগুলো এককভাবে থাকতে পারে না। এগুলো থাকে ক্লাস্টার তৈরি করে এবং ক্লাস্টার সমূহ হয়ে থাকে বিভিন্ন আকারের। ক্লাস্টার সমূহের আকার গুলো নির্ভর করে পানির অণুর সংখ্যা উপর। পানির ক্লাস্টার সমূহ বিভিন্ন আকৃতির হওয়ায় এর অণুসমূহ অগোছালো ঢিলাভাবে
আকর্ষিত হয়ে থাকে। এই ঢিলা ও অগোছালোভাবে আকর্ষিত হওয়ার কারণে বিষাক্ত ও দূষিত বস্তু/জীবাণু পানির ক্ল­াস্টারের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এই অবস্থায় কোষ প্রাচীর দিয়ে প্রবেশের সময় অসম ও বড় আকৃতির ক্লাস্টারসমূহ প্রাকৃতিক নিয়মেই আটকে যায়। কিন্তু ক্ষুদ্র আকারের ঢিলা ও বিষাক্ত/দূষণযুক্ত ক্লাস্টার সমূহ কোষে প্রবেশ করে।

পানির ক্লাস্টার সমূহের সমস্যা দূর করতে দীর্ঘ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বৈজ্ঞানিকগণ স্টার্কচার্ড ওয়াটার তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এ আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরী চৌম্বকীয় ফানেলের ভিতর দিয়ে পানি প্রবাহিত করলে ফানেলের চৌম্বকীয় প্রভাবে পানির ক্লাস্টার সমূহ পুনঃগঠিত হয়ে ক্ষুদ্রতর আকৃতির হয় এবং একে অপরের সাথে অত্যান্ত নিবিড়ভাবে লেগে থাকে। ফলে প্রতিটি ক্লাস্টার হয় দূষণ মুক্ত। যা সহজেই জীবকোষে প্রবেশ করতে পারে। এ পদ্ধতি পাওয়া যায় অল্প পানিতে অধিকতর স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পানি। যা শুধু তৃঞ্চা মেটায় না, শক্তিও যোগায়।